যেসব নিয়মে চা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যাবে

যেসব নিয়মে চা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যাবে

যেসব নিয়মে চা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যাবে

Blog Article

চা আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রত ভাবে জড়িয়ে থাকা একটি নাম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চা না হলেই নয় আর শীত এলে তো কথাই নেই। আমাদের দেহ ও মন কে চাঙ্গা রাখার জন্য চা খুবই গুরুত্বর্পূণ। চা একটি ইংরেজি শব্দ। যার অর্থ হল সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদ বিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়, যার বৈজ্ঞানিক নাম Camellia sinensis। চা পাতা মূলত চা গাছের পাতা,পর্ব ও মুকুল থেকে তৈরি করা হয়।

 

পুষ্টিমান

চা অত্যন্ত পুষ্টি গুন সম্পন্ন একটি পানীয়। এর পুষ্টি গুণ আমাদের সুস্থ রাখে। চা এর প্রধান উপাদান হল ক্যাফেইন। পলি ফেনল,  essential oil.protein 17.2,%crude fiber 27%,stearch 0.5% ash.vitaminB,ascorbic acid, antioxident ,zinc.

 

প্রয়োজনীয়তা

চায়ের এন্টি অক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং এর পটাশিয়াম ও জিংক পেশী ও নার্ভের সাভাবিক উদ্দীপনায় ও স্নায়ু প্রতিবেদনে  সাহায্য করে  এবং শরীরের এনজাইমের প্রভাব ঠিক রাখে ।যারা নিয়মিত চা পান করে তারা অন্যদের তুলনায় সুস্থ থাকেন । তাই খুব সহজেই বলা যায় যে, চা খাওয়া খুবই ভালো । তবে সেটা হতে হবে গ্রীন টি অথবা রং চা। হাবার্ড বিশ্ববিদ্যায়ের ১টি গবেষনায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত গ্রীন টি পান করেন তাদের শতকরা ৪৫-৬৫% হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। ৪০ হাজার ৫৩০ জন জাপানির ওপর ১টি গবেষনা চালিয়ে দেখা গেছে দিনে পাচঁ কাপের বেশি গ্রীন টি পান করার ফলে অন্যান্যদের তুলনায় ২৬% হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুকি কমে যায় গেছে ।

 

চায়ের অন্যান্য উপকারী দিকগুলো হলো:

** কিডনী রোগের জন্য উপকারী ।

** হার্টএর্টাকের ঝুঁকি কমায় ।

** রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা ক্যজনিওত

** ডায়াবেটিক্স এর জন্য উপকারী ।

** পেট পরিষ্কার রাখে ও মস্তিষ্ক সচল রাখে ।

** আদা চা বমি ভাব দূর করে।

** সর্দিকাশি উপশমে সাহায্য করে ।

** এসিডিটির বিরূদ্ধে কাজ করে ।

** রং চা কাজের মনোয়োগ বাড়ায় ।

** ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে ।

** রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় ।

** আর্থারাইটিস কিংবা যেকোন গাঁটে ব্যাথা থেকে উপশম দেয় আদা চা ।

 

তাই বলা যায় গ্রীন টি, আদা চা, লং চা, ও রং চা অবশ্যই আমাদের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ন ও জরুরী। কিন্তু এর পরও চা খাওয়ার কিছু নির্দিস্ট সময় রয়েছে।  খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে বা পরে। কেননা চা খাবারের আয়রন শোষন করে । আবার খাবার থেকে প্রাপ্ত আমিষ ও ভিটামিন চা এর কারনে ভালো মতো হজম হতে পারে না । চা এর ভেতর থাকা টেনিকামস ও জেসথিও ফিলিস নামক উপাদান পাকস্থলীর হজম প্রাক্রিয়াকে দূর্বল করে দেয় । তাই খাবার খাওয়ার পর চা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ ।

 

ক্ষতিকর দিক

চা আমাদের জন্য উপকারী হলে ও দুধ চা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। চা এর ভেতর থাকা ক্যাটেচিন রক্ত নালীকে প্রসারিত করে। কিন্তু দুধের ভেতর থাকা ক্যাসেইন ,ক্যাটেচিন কে বাধাগ্রস্থ করে। ফলে রক্ত নালী সংকুচিত হয়। এছাড়া দুধ চা ইনসুলিনের নির্গমনের হার কমিয়ে দেয়। এর ক্যালরির মাত্রা রং চা এর তুলনায় ৮ গুণ বেশি। তাই ওজন বাড়ার সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি ও বেড়ে   যায়। তাই আজই খাদ্য তালিকায় চা যোগ করুন সুস্থ থাকুন এবং ভলো থাকুন।

 

 

 

Report this page